Advertisements

মুদ্রাস্ফীতি কি | মুদ্রাস্ফীতির কারণ | মুদ্রাস্ফীতির প্রকারভেদ | মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের উপায়

Advertisements

আপনি যদি মুদ্রাস্ফীতি বলতে কি বোঝায়, মুদ্রাস্ফীতির কারণ কি, মুদ্রাস্ফীতির ফলাফল, মুদ্রাস্ফীতি রোধ করার উপায় ইত্যাদি সম্পর্কে বিশদে জানতে চান তাহলে এই পোস্টটি শেষ অবধি পড়ুন। 

 

মুদ্রাস্ফীতি কাকে বলে?

Advertisements
  • সহজ ভাষায় মুদ্রাস্ফীতি বলতে বোঝায় দ্রব্য সামগ্রী এবং পরিষেবার মূল্যবৃদ্ধি। তবে শুধুমাত্র একটি/দুইটি/সামান্য কয়েকটি দ্রব্য বা পরিষেবার যদি মূল্যবৃদ্ধি হয়, তবে তাকে মুদ্রাস্ফীতি বলা যাবে না। সামগ্রিক ভাবে জিনিসপত্র এবং পরিষেবার মূল্য বৃদ্ধি হলে তবেই বলা যাবে যে মুদ্রাস্ফীতির অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, বলা যায় বর্তমানে, ২০২৩ সালে সমগ্র বিশ্বে অর্থনৈতিক অস্থিরতার দরুণ ভারতবর্ষ এবং আরও অন্যান্য কয়েকটি দেশে প্রায় সমস্ত জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। এই হলো মুদ্রাস্ফীতির অবস্থা।  
  • Advertisements
  • মুদ্রাস্ফীতিকে অন্য এক রকম ভাবেও ব্যাখা করা যায়। যদি কোনও মুদ্রার ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস পায়, তাহলে সেই অবস্থাকেও মুদ্রাস্ফীতি বলা চলে। যেমন, ২০১৩ সালে ১ কেজি চালের দাম ছিল ২৫ টাকা অথচ ২০২৩ সালে ১ কেজি চালের দাম ৫০ টাকা। অর্থাত্‍ ২০১৩ সালে ২৫ টাকায় যে পরিমাণ দ্রব্য পাওয়া যেত, আজ ২০২৩ সালে ওই একই টাকায় তার চেয়ে কম পরিমাণ দ্রব্য পাওয়া যায়। এর অর্থ হলো, মুদ্রার ক্ষমতা বা তার মূল্যের অবনমন হয়েছে, যার ফলস্বরূপ মুদ্রাস্ফীতির অবস্থা তৈরি হয়েছে।
  • Advertisements

মুদ্রাস্ফীতির কারণ কি

  • মুদ্রাস্ফীতির পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার বিভিন্ন রকমের কারণ আছে। মুদ্রাস্ফীতির পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার এই সকল কারণ গুলিকে আবার মুদ্রাস্ফীতির প্রকারভেদও বলা যায়। মুদ্রাস্ফীতির প্রকার গুলি, এবং কারণগুলি নীচে আলোচনা করা হলো।

 

মুদ্রাস্ফীতি কত প্রকার

  • চাহিদা বৃদ্ধি জনিত মুদ্রাস্ফীতি (Demand Pull Inflation)

    • এক্ষেত্রে যদি কোনও দেশে পণ্য ও পরিষেবার সুবিধা নেওয়ার চাহিদা বৃদ্ধি পায় অথচ সেই অনুপাতে পণ্যের উত্‍পাদন বা পরিষেবা উপলদ্ধ না থাকে, তাহলে যেটুকু পণ্য ও পরিষেবা উপলদ্ধ আছে, তার মূল্য বৃদ্ধি হয়, এবং মুদ্রাস্ফীতির অবস্থা তৈরি হয়।
    • Advertisements
    • আমরা জানি, যদি কোনও জিনিস খুব স্বল্প পরিমাণেই উপলদ্ধ অথচ তার চাহিদা বেশি, তাহলে অর্থনীতির স্বাভাবিক নিয়মই সেই দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি হবে। এই ধরনের মুদ্রাস্ফীতির অবস্থা তৈরী হতে পারে যদি সরকার আয়কর কমিয়ে দেয়, বা সুদের হার হ্রাস করে, অথবা কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধি হয়। 
    • Advertisements
    • এই ধরণের মুদ্রাস্ফীতিকেই বিখ্যাত অর্থনীতিবিদ জন মেনার্ড কেইন্স চাহিদা বৃদ্ধি জনিত মুদ্রাস্ফীতি বা demand pull inflation বলেছেন। 

 

  • মূল্যবৃদ্ধি জনিত মুদ্রাস্ফীতি (Cost Push Inflation)

    • এক্ষেত্রে যদি কাঁচামাল অথবা সেই সব পণ্য বা পরিষেবা যার ওপর কোনও দেশের অর্থনীতি প্রবল ভাবে নির্ভরশীল তার মূল্যবৃদ্ধি হয় তবে মুদ্রাস্ফীতির পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। যেমন ধরা যাক, কোনও দেশে পেট্রোল বা ডিজেলের দাম বৃদ্ধি হলো।এখন যে কোনও খাদ্যদ্রব্যই হোক বা বিলাসবহুল দ্রব্য সবই শেষমেষ গ্রাহকের নিকট পৌঁছায় যানবাহনের মাধ্যমে, আবার যানবাহন চলে পেট্রোল বা ডিজেলে। ফলত, স্বাভাবিক ভাবেই পেট্রোল ডিজেলের দাম বাড়লে অন্যান্য জিনিসেরও মূল্য বৃদ্ধি হবে, কারণ তখন গ্রাহক অবধি দ্রব্য পৌঁছাতে পরিবহনের জন্য অতিরিক্ত খরচ বহন করতে হবে।
    • Advertisements
    • আবার দেখা যায় শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধি করলে, বা পণ্য উদপাদনের খরচ বৃদ্ধি পেলে, চক্রাকারে তা পণ্যের মূল্যের ওপরই এসে পড়ে যার  ফলস্বরূপ মুদ্রাস্ফীতির অবস্থা সৃষ্টি হয়। 

 

  • সরকারী পদক্ষেপ (Government Policy based Inflation)

    • মুদ্রানীতি (Monetary Policy based Inflation)

      • অনেক সময় দেশের সরকার বিভিন্ন কারণে বেশি করে মুদ্রা ছাপাতে শুরু করে। ফলত বাজারে মুদ্রার আধিক্য দেখা দেয় অথচ জিনিসপত্রের যোগান বৃদ্ধি না হওয়ার দরুণ দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি হয়।

 

    • রাজস্ব নীতি (Financial Policy based Inflation)

      • বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে খরচ করার জন্য সরকার ঋণ নেয় এবং সেই মুদ্রাও দেশের বাজারে আসে অথচ অন্যদিকে পণ্যের যোগানে বৃদ্ধি না হওয়ার দরুণ মূল্যবৃদ্ধির অবস্থা তৈরী হয়।   

 

    • ভর্তুকি (Subsidy)     

      • অনেক সময় সরকার বিভিন্ন খাতে ভর্তুকি দিয়ে থাকে বা দেশের নাগরিকগণের অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা পাঠিয়ে দেয়। এর ফলে বাজারে সেই টাকা খরচ করার প্রবণতা বেড়ে যায়, যার ফলে মুদ্রাস্ফীতি হয়। তবে দু একটি ক্ষেত্রে ভর্তুকি দিলে সমস্যার সৃষ্টি হয় না, বরং মাত্রাতিরিক্ত ক্ষেত্রে ভর্তুকি দিলে মুদ্রাস্ফীতি সৃষ্টি হতে পারে। 
      • Advertisements

  • বৈদেশিক মুদ্রার তুলনায় দেশের মুদ্রার  অবমূল্যায়ন 

      • অনেক সময় অর্থনৈতিক বা রাজনৈতিক কারণে অন্য দেশের মুদ্রার তুলনায় দেশের মুদ্রার মূল্য কমে যায়, যার ফলে দেশে মুদ্রাস্ফীতির অবস্থা সৃষ্টি হয়। এর সবচেয়ে নবীন উদাহরণ শ্রীলঙ্কা। 

 

  • প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে মুদ্রাস্ফীতি

    • বিভিন্ন প্রাকৃতিক কারণ যেমন খরা, ভূমিকম্প, বন্যা, ইত্যাদির ফলে দেশে পণ্য ও পরিষেবার আকাল দেখা দেয়। সেক্ষেত্রে যেটুকু পণ্য বা পরিষেবা উপলদ্ধ আছে, তা চড়ামূল্যে বিক্রি হয়। অর্থাত্‍ মুদ্রাস্ফীতির অবস্থা সৃষ্টি হয়। 
    • Advertisements

 

  • কৃত্রিম মুদ্রাস্ফীতি

    • অনেক সময় অসাধু ব্যবসায়ীরা পণ্য গুদামজাত করে রেখে পণ্যের কৃত্রিম শূন্যতা সৃষ্টি করে। এর ফলেও মূল্যবৃদ্ধি  হয়।  

 

মুদ্রাস্ফীতির ফলাফল

  • ঋণদাতা এবং ঋণগ্রহীতার ওপর মুদ্রাস্ফীতির প্রভাব: – মুদ্রাস্ফীতির অবস্থায় ঋণদাতার ক্ষতি হয় এবং অন্যদিকে ঋণগ্রহীতা লাভবান হন। এই ব্যাপারটি একটি উদাহরণের সাহায্যে বোঝা যাক। ধরা যাক ২ বছর আগে শ্যাম যদুকে ১০০ টাকা ধার দিয়েছিলো । এখন মুদ্রাস্ফীতির (ধরা যাক হার ১০%) দরুণ তত্‍কালীন সেই ১০০ টাকার মূল্য কমে হয়েছে ৯০ টাকা। অর্থাত্‍, শ্যাম যখন যদু কে টাকা ফেরত দিলো তার মূল্য বর্তমান ৯০ টাকার সমান। এইভাবে মুদ্রাস্ফীতিতে ঋণদাতার ক্ষতি হয় এবং অন্যদিকে ঋণগ্রহীতা লাভবান হন।
  • Advertisements

 

  • চাহিদা বৃদ্ধি: – মুদ্রাস্ফীতির ফলে জিনিসপত্রের চাহিদা বৃদ্ধি পায়; ফলত আরও বেশী করে পণ্য উত্‍পাদিত হতে থাকে।

 

  • আয়ের ওপর প্রভাব: – মুদ্রাস্ফীতির ফলে নামমাত্র আয় বৃদ্ধি হয় যদিও আসল আয়ের কোনও বদল হয় না, কারণ মুদ্রাস্ফীতির জন্য মুদ্রার ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস পায়।

 

  • খরচ -এর ওপর প্রভাব: – মুদ্রাস্ফীতির ফলে জিনিসপত্রের দাম বাড়ে। এমতবস্থায় সাধারণ মানুষ খরচে কাটতি করেন। অনেকেই এই পরিস্থিতিতে অত্যাবশ্যকীয় নয় এমন দ্রব্যে খরচ কমিয়ে দেন।

 

  • জীবনযাত্রার ওপর প্রভাব: – মুদ্রাস্ফীতির ফলে খরচের ওপর ব্যাপক প্রভাব পড়ে, যার ফলে মানুষের, বিশেষ করে অর্থনৈতিক স্তরে নিম্ন শ্রেণীতে অবস্থানকারী মানুষের জীবনযাত্রার ওপর চরম সংকট নেমে আসে। 

 

  • রপ্তানির ওপর প্রভাব: – মুদ্রাস্ফীতির ফলে সেই দেশে উত্‍পন্ন পণ্যের রপ্তানী বৃদ্ধি পায়, কারণ মুদ্রাস্ফীতির ফলে মুদ্রার মূল্য কমে যায়। উদাহরণস্বরূপ, ধরা যাক, মুদ্রাস্ফীতির পূর্বে আমেরিকার কোম্পানী A ভারত থেকে ১০০ ডলারের জিনিস ক্রয় করত, কিন্তু এখন মুদ্রাস্ফীতির ফলে ওই ১০০ ডলারেই কোম্পানী A আরও বেশী পরিমাণ দ্রব্য কিনতে পারবে। এর ফলে রপ্তানীর পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে কিন্তু রপ্তানীর মূল্যে কোনও বদল হবে না।     
  • Advertisements

 

  • আমদানির ওপর প্রভাব: – মুদ্রাস্ফীতির ফলে অন্য দেশ থেকে আমদানির পরিমাণ কমে যায়। এর কারণ খুব সহজ। মুদ্রাস্ফীতির ফলে সেই দেশের মুদ্রার মূল্য কমে যায় ফলে বিদেশী জিনিসগুলি কিনতে আরও বেশী অর্থ খরচ করতে হয়।
  • Advertisements

 

  • কর্মসংস্থানের ওপর প্রভাব: – মুদ্রাস্ফীতির ফলে কর্মসংস্থান সাময়িক ভাবে বৃদ্ধি পায়। এর কারণ মুদ্রাস্ফীতির ফলে জিনিসপত্রের চাহিদা বৃদ্ধি পায এবং এর ফলে কারখানাগুলি আরও বেশী দ্রব্য উত্‍পাদন করে বেশী মুনাফা কামাতে চায়, এবং এর জন্য তারা আরও বেশী কর্মচারী নিয়োগ করে। স্বভাবতই , এর ফলে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পায়। যদিও এই বৃদ্ধি স্বল্পকালীন মেয়াদের জন্য। দীর্ঘকালীন মেয়াদে কর্মসংস্থানে কোনও প্রভাব পড়ে না বা কর্মসংস্থানের হার কমে যায়।        
  • Advertisements

 

 

মুদ্রাস্ফীতি কিভাবে পরিমাপ করা হয়?

  • মুদ্রাস্ফীতি পরিমাপের জন্য ভিন্ন ভিন্ন পদ্ধতি চালু আছে। এর মধ্যে সবচেয়ে প্রচলিত পদ্ধতি গুলি হলো Wholesale Price Index এবং Consumer Price Index -এর মাধ্যমে মুদ্রাস্ফীতি নির্ণয়।
    • Wholesale Price Index – এই ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে বিভিন্ন জিনিসপত্রের পাইকারী দামের পরিবর্তন হিসাব করা হয়। এই পদ্ধতিতে জিনিসপত্র গুলিকে মূলত তিনটি ভাগে ভাগ করা হয় – মুখ্য বস্তু, জ্বালানী এবং বিদ্যুত্‍, ও শিল্পজাত দ্রব্য।
    • Advertisements
    • Consumer Price Index – এই ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে বিভিন্ন জিনিসপত্রের বাজারদরের পরিবর্তন হিসাব করা হয়। এই পদ্ধতিতে জিনিসপত্র গুলিকে মূলত ছয়টি ভাগে ভাগ করা হয় – খাদ্য ও পানীয় সামগ্রী, নেশাজাত দ্রব্য, পরিধানের দ্রব্য, আবাস, বিদ্যুত্‍, এবং অন্যান্য।
    • Advertisements

মুদ্রাস্ফীতির হার নির্ণয়

  • মুদ্রাস্ফীতির হার নির্ণয় করতে প্রথমে একটি ভিত্তি বছর (Base Year) স্থির করা হয় এবং তারপর, প্রতি বছর তার আগের বছরের সাপেক্ষে মুদ্রাস্ফীতির হার হিসাব করা হয়। ব্যাপারটি একটি উদাহরণের সাহায্যে বোঝা যাক।
  • Advertisements
  • ভারতে বর্তমানে CPI -এর সাহায্যে মুদ্রাস্ফীতি নির্ণয়ের জন্য ২০১২কে ভিত্তি বছর ধরা হয়েছে। এবার ধরা যাক মে, ২০২২ -এর মুদ্রাস্ফীতির হার নির্ণয় করতে হবে। সেক্ষেত্রে খাদ্য ও পানীয় সামগ্রী, নেশাজাত দ্রব্য, পরিধানের দ্রব্য, আবাস, বিদ্যুত্‍, এবং অন্যান্য – এই সব জিনিসগুলির দামে মে, ২০২১ -এর সাপেক্ষে যে পরিবর্তন হয়েছে তা হিসাব করতে হবে।ধরা যাক ওইসব জিনিসে মোট ৫% হারে দাম বৃদ্ধি হয়েছে। তাহলে বলতে হবে যে মুদ্রাস্ফীতির হার ৫%।  
  • Advertisements

মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের উপায় কি

  • মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য মূলত দুই ধরণের পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে – ১) মুদ্রানীতিজনিত পদক্ষেপ, ও ২) রাজস্বনীতিজনিত পদক্ষেপ

 

    • মুদ্রানীতিজনিত পদক্ষেপ – এই পদক্ষেপে মুদ্রাস্ফীতির ফলে কোনও দেশের বাজারে যে অতিরিক্ত টাকা এসেছে তাকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ভারতের ক্ষেত্রে RBI) সুদের হার বৃদ্ধি করে এবং এর ফলস্বরূপ অন্য ব্যাংকগুলিও সুদের হার বাড়িয়ে দেয়। সুদের হার বাড়িয়ে দিলে দেশের নাগরিকরা সহজে ঋণ নিতে পারেন না। ফলে বাজারে যে অতিরিক্ত টাকা এসেছিল তা ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।
    • Advertisements

 

    • রাজস্বনীতি জনিত পদক্ষেপ
      • কর বৃদ্ধি: – এক্ষেত্রে মুদ্রাস্ফীতি রুখতে দেশের সরকার কর বাড়িয়ে দেয়। এর ফলে মুদ্রাস্ফীতির দরুণ বাজারে আসা অতিরিক্ত টাকা বাজার থেকে নিষ্কাশিত হয়।
      • খরচে হ্রাস: – এক্ষেত্রে মুদ্রাস্ফীতি রুখতে দেশের সরকার বিভিন্ন খাতে খরচ কম করে দেয়।  

টাকা ছাপিয়ে কি মুদ্রাস্ফীতি রোধ করা যায়?

  • টাকা ছাপিয়ে কোনওভাবেই মুদ্রাস্ফীতি রোধ করা সম্ভব নয়। কারণ সেক্ষেত্রে বাজারে আরও বেশী করে টাকা চলে আসবে অথচ জিনিসপত্রের যোগান প্রায় একইরকম থাকার দরুণ বাজারে উপস্থিত থাকা টাকা তার মূল্য হারাবে এবং ক্রমাগত মুদ্রাস্ফীতির হার বাড়তে বাড়তে তা অতি মুদ্রাস্ফীতি (Hyper Inflation) -এর রূপ নেবে।
  • Advertisements

প্রায়শই জিজ্ঞাসা করা প্রশ্নগুলি

FAQ – মুদ্রাস্ফীতি