পশ্চিমবঙ্গ সরকারী প্রকল্প | পশ্চিমবঙ্গ সরকারী যোজনা | পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের নাম |পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প | পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের তালিকা
অন্যান্য রাজ্য সরকার গুলির মতোই পশ্চিমবঙ্গ সরকারও বিভিন্ন ধরণের সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প চালু করেছেন, যেমন – কন্যাশ্রী, যুবশ্রী, সবুজ সাথী, ইত্যাদি। এই তালিকায় একটি গুরুত্বপূর্ণ নাম হলো কর্মই ধর্ম প্রকল্প। এই প্রকল্পের বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নিতে এই পোস্টটি শেষ অবধি মন দিয়ে পড়ুন।
কর্মই ধর্ম প্রকল্প
প্রকল্পের নাম | কর্মই ধর্ম |
কোথায় চালু হয়েছে | পশ্চিমবঙ্গ |
কে চালু করেছেন | পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় |
কারা প্রকল্পের সুবিধা পাবেন | পশ্চিমবঙ্গের যুবকগণ |
প্রকল্পের উদ্দেশ্যে | কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও যুবকদের ব্যবসায় উত্সাহ প্রদান |
কর্মই ধর্ম প্রকল্প
কর্মই ধর্ম প্রকল্প পশ্চিমবঙ্গের একটি সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প। এই প্রকল্পের অধীনে পশ্চিমবঙ্গের দুই লক্ষ যুবককে বিনামূল্যে একটি করে মোটরবাইক দেওয়া হবে। মূলত রাজ্যের যুবকদের মধ্যে কর্মসংস্থান বৃদ্ধির লক্ষ্যেই এই প্রকল্প চালু করা হয়েছে। বর্তমানে রাজ্যের যুবকরা জীবিকা অর্জনের জন্য ক্ষুদ্র ব্যবসাকে বেছে নিচ্ছেন। আর ব্যবসা করতে গেলে প্রতিনিয়ত এদিক সেদিক ছুটে বেড়াতে হয়। আবার কম সময়ে অথচ স্বল্প খরচে যাতায়াতের সেরা মাধ্যম হলো মোটরবাইকl তাই বলা যায় রাজ্যের বেকার যুবকদের ব্যবসায় উত্সাহ দিতে এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির উদ্দেশ্যেই কর্মই ধর্ম প্রকল্পটি চালু করা হয়েছে।
কর্মই ধর্ম প্রকল্পের উদ্দেশ্যে
- বর্তমান সময়ে যখন বেকারত্বের হার খুবই বেশী, এমতাবস্থায় কর্মই ধর্ম প্রকল্প যুবকদের ক্ষুদ্র ব্যবসা করতে উত্সাহ প্রদান করবে।
- এই প্রকল্পের সাহায্যে রাজ্যের বেকার যুবকরা আত্মনির্ভর হতে পারবেন এবং তাঁদের পারিবারিক আর্থিক পরিস্থিতি উন্নত করতে পারবেন।
কর্মই ধর্ম প্রকল্পের সুবিধা
- কর্ম ধর্ম প্রকল্পের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের দুই লক্ষ যুবককে সমবায় ব্যাংকগুলির সাহায্যে একটি করে মোটরবাইক দেওয়া হবে।
- এই প্রকল্পের অধীনে যে বাইক দেওয়া হবে তার পিছন দিকে একটি বাক্স থাকবে। এর ফলে ওই বাইকে চড়ে তাঁরা তাদের পছন্দ মতো জিনিসপত্র বিক্রি করতে পারবেন। এছাড়াও ব্যবসার কাজে জিনিসপত্র নিয়ে আসা ও নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রেও এতে সুবিধা হবে।
- এই প্রকল্পের জন্য আর্থিক সহায়তা যে কোনো সমবায় ব্যাংক থেকে ঋণ সরবরাহ করে করা হবে।
কর্মই ধর্ম প্রকল্পে আবেদন করার জন্য যোগ্যতা
- আবেদনকারীকে অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।
- আবেদনকারীকে অবশ্যই দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণী উত্তীর্ণ হয়ে থাকতে হবে।
- বেকার যুবকরা যারা নিজস্ব ব্যবসা শুরু করতে চায় এবং তার জন্য আর্থিক সাহায্য চায় তারা কর্মই ধর্ম প্রকল্পে আবেদন করবে।
কর্মই ধর্ম প্রকল্পে আবেদন করার জন্য প্রয়োজনীয় নথিপত্র
কর্মই ধর্ম প্রকল্পে আবেদনের জন্য আবেদনকারীকে নিম্নলিখিত নথিপত্র গুলি দিতে হবে –
- পাসপোর্ট মাপের ছবি
- আধার কার্ড
- রেসিডেনসিয়াল সার্টিফিকেট বা স্থায়ী বসবাসের প্রমাণ পত্র
- শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমাণপত্র
- ভোটার কার্ড
- পরিবারের আয়ের শংসাপত্র
কর্মই ধর্ম প্রকল্পে কিভাবে আবেদন করবেন
কর্মই ধর্ম প্রকল্পে অনলাইন এবং অফলাইন দুই ভাবেই আবেদন করতে পারবেন। অনলাইন আবেদন করতে wb.gov.in. এই ওয়েবসাইটে যান। অফলাইনে আবেদন করতে আপনার স্থানীয় পঞ্চায়েত বা পুরসভার অফিসে যোগাযোগ করুন। সেখান থেকে আপনাকে কর্মই ধর্ম প্রকল্পে আবেদনের ফর্ম দেওয়া হবে। সেই ফর্মে সমস্ত তথ্য ভরাট করে অন্যান্য নথিপত্র সমেত তা ওই পঞ্চায়েত বা পুরসভাতে জমা করতে হবে ৷
আশা করি লেখাটি পড়ে আপনারা উপকৃত হয়েছেন। এই বিষয়ে আপনার মনে কোনো প্রশ্ন থাকলে কমেন্টে জানান বা আমাদের মেইল করুন [email protected] -এ। এছাড়া এই লেখাটি অন্য দের সাথে শেয়ার করে তাদেরও জানার সুযোগ করে দিন। এই ব্লগে আমরা ফাইন্যান্স বিষয়ক বিভিন্ন লেখা প্রকাশ করি। যাতে আমাদের একটি লেখাও আপনার নজর না এড়ায়, তার জন্য ডান দিকের ঘণ্টা আইকনটিতে ক্লিক করে নোটিফিকেশন চালু করে রাখুন। আপনার মূল্যবান সময় ব্যয় করে লেখাটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
আরও পড়ুন: –