Advertisements

মৌলিক অর্থনৈতিক সমস্যা | মৌলিক অর্থনৈতিক সমস্যা ও সমাধান

Advertisements

মৌলিক অর্থনৈতিক সমস্যা কি | মৌলিক অর্থনৈতিক সমস্যা ও সমাধান | মৌলিক অর্থনৈতিক সমস্যা কাকে বলে | মৌলিক অর্থনৈতিক সমস্যা গুলো কি কি | মৌলিক অর্থনৈতিক সমস্যা কয়টি | মৌলিক অর্থনৈতিক সমস্যা কয়টি ও কি কি | মৌলিক অর্থনৈতিক সমস্যা দেখা দেয় কেন | মৌলিক অর্থনৈতিক সমস্যা বলতে কি বুঝ | মৌলিক অর্থনৈতিক সমস্যা কেন সৃষ্টি হয়

Advertisements

 

মৌলিক অর্থনৈতিক সমস্যা অর্থনীতির একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং ভিত্তিমূলক  ধারণা (Basic Concept)। আমাদের এই ব্লগে আমরা অর্থনীতির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করে থাকি। এই পোস্টটিতে  মৌলিক অর্থনৈতিক সমস্যা কাকে বলে তা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। বিষয়টি ভালোভাবে বুঝে নিতে পোস্টটি শেষ অবধি পড়ুন।

Advertisements

 

মৌলিক অর্থনৈতিক সমস্যা কি

Advertisements

দেশে সম্পদ সীমিত হওয়ায় অথচ নাগরিকদের চাহিদা অসীম হওয়ার জন্য পৃথিবীর সমস্ত দেশের অর্থনীতিকেই একটি মূল সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়, আর সেই সমস্যা হলো, সীমিত সম্পদের সদ্ব্যবহার করে কিভাবে মানুষকে সবচেয়ে বেশী সম্ভব সন্তুষ্ট করা যায়। আর এই সমস্যার সমাধান করতে গিয়েই কয়েকটি মৌলিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এই সমস্যাগুলিকেই মৌলিক অর্থনৈতিক সমস্যা বলা হয়।   

Advertisements

 

মৌলিক অর্থনৈতিক সমস্যা কয়টি ও কি কি

মৌলিক অর্থনৈতিক সমস্যা তিনটি। এগুলি হলো –

১) কি উত্‍পাদন করা হবে এবং কতটা উত্‍পাদন করা হবে?

২) কিভাবে উত্‍পাদন করা হবে?

৩) কাদের জন্য উত্‍পাদন করা হবে?

মৌলিক অর্থনৈতিক সমস্যা বলতে মূলত এই তিনটি সমস্যাকেই বুঝায়। দেশের অর্থনীতিকে সঠিকভাবে চালনা করতে প্রত্যেক দেশকেই এই তিনটি মৌলিক সমস্যার সমাধান খুঁজতে হয়। সে দেশটি উন্নত হোক, বা দরিদ্র, অথবা, উন্নয়নশীল। প্রত্যেকটি দেশ তার নিজের নিজের মতো করে এই সমস্যাগুলির সমাধান করে।   

Advertisements

কি উত্‍পাদন করা হবে এবং কতটা উত্‍পাদন করা হবে?

প্রত্যেক দেশ বা সমাজকেই স্থির করতে হয় যে, তাদের নিকট উপস্থিত সীমিত সম্পদের সাহায্যে তারা কোন কোন সম্ভাব্য বস্তু বা পরিষেবা গুলির উত্‍পাদন করবে এবং কতটা পরিমাণে উত্‍পাদন করবেন। খাদ্য উত্‍পাদন করা হবে নাকি বস্ত্র নাকি ঘরবাড়ি তৈরি করা হবে? নাকি শিক্ষা, স্বাস্থ্য ইত্যাদি পরিষেবায় সম্পদ ব্যবহার করা হবে। বস্তু মূলত দুই ধরণের হয় – শিল্পজাত দ্রব্য (যেমন যন্ত্রপাতি, কাঁচামাল) ও ভোগ্যপণ্য (যেমন খাদ্যদ্রব্য, পরিধানের বস্তু, ইত্যাদি)। প্রত্যেক সমাজকেই স্থির করতে হয়, তারা শিল্পজাত দ্রব্যের ওপর জোর দেবে নাকি ভোগ্যপণ্য উত্‍পাদনে বেশী ব্যয় করবে, নাকি দুই ধরণের দ্রব্যের মিশ্র উত্‍পাদন করবে। একবার কি উত্‍পাদন করা হবে স্থির হয়ে গেলে সেই বস্তু কতটা উত্‍পাদন করতে হবে তার উত্তর খুঁজতে হয়।  

Advertisements

উদাহরণ স্বরূপ ধরা যাক, স্থির করা হলো, দেশটি যন্ত্রপাতি, এবং কাপড় উত্‍পাদন করবে।

 

কিভাবে উত্‍পাদন করা হবে?

প্রথম প্রশ্নদুটির সমাধান হয়ে গেলে পরের প্রশ্নটি যেটি আসে তা হলো কিভাবে উত্‍পাদন করা হবে। কিভাবে উত্‍পাদন করা হবে বলতে বোঝায়, দ্রব্যটি উত্‍পাদনে কি শ্রমিকদের ব্যবহার বেশী করা হবে, নাকি উন্নত যন্ত্রপাতির সাহায্যে দ্রব্য উত্‍পাদিত হবে। আবার এও দেখা যায়, যে কে দ্রব্যটি উত্‍পাদন করবে – সরকারী কোনও সংস্থা উত্‍পাদন করবে নাকি কোনও স্বাধীন উদ্যোক্তা উত্‍পাদন করবে।

Advertisements

উপরের উদাহরণের সাহায্য নিয়ে, ধরা যাক, দেশটি কাপড় উত্‍পাদন করবে স্থির করলো এবং উন্নত যন্ত্রপাতির সাহায্যে সাহায্যে তা উত্‍পাদিত হবে ঠিক হলো।    

 

কাদের জন্য উত্‍পাদন করা হবে?

এর পর আমাদের যে প্রশ্নটির সম্মুখীন হতে হয় তা হলো কাদের জন্য উত্‍পাদন করা হবে। এক্ষেত্রে দেখতে হয়, দেশে উত্‍পাদিত দ্রব্য গুলির কোনটি কে ভোগ করবে,  কিভাবে দেশে উত্‍পাদিত পণ্য ও পরিষেবা গুলি সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের মধ্যে বন্টিত হবে। আবার বিবেচনা করতে হয়, কে বেশী পাবে, কে কম পাবে, প্রত্যেকের কি একটি নূন্যতম পরিমাণ ভোগ্যপণ্য ভোগ করার অধিকার থাকা উচিত, ইত্যাদি।   

Advertisements

 

মৌলিক অর্থনৈতিক সমস্যার সমাধান

প্রত্যেকটি দেশ মৌলিক অর্থনৈতিক সমস্যা গুলির সমাধানের জন্য ভিন্ন ভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে। তবে, এই পন্থা গুলিকে মূলত তিনটি মূল শ্রেণীতে বিভক্ত করা যায় –

ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় মৌলিক অর্থনৈতিক সমস্যা গুলির সমাধান খুব সহজেই হয়ে যায়। এই ব্যবস্থায় উদ্যোক্তা সেইসব পণ্যই উত্‍পাদন করেন যেসব পণ্যের চাহিদা চাহিদা গ্রাহকদের মধ্যে রয়েছে। ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় গ্রাহককেই রাজা মনে করা হয়। বলতে গেলে, এই ব্যবস্থায় গ্রাহকই স্থির করে দেয় কি উত্‍পাদন করা হবে, কতটা উত্‍পাদন করা হবে, এবং কাদের জন্য উত্‍পাদন করা হবে। আবার, ধনতান্ত্রিক ব্যবস্থায় কিভাবে উত্‍পাদন করা হবে সমস্যার সমাধান করতে দেখা হয় কোন পদ্ধতিতে উদ্যোক্তার লাভ বেশী হয় বা কোন পদ্ধতিতে পণ্য উত্‍পাদনে খরচ কম।     

Advertisements

সমাজতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থায়, যেহেতু সম্পদের ওপর কোনও ব্যাক্তিগত মালিকানা থাকে না, তাই দেশের সরকারই স্থির করেন, কি উত্‍পাদন করা হবে, কতটা উত্‍পাদন করা হবে, কাদের জন্য উত্‍পাদন করা হবে, এবং কিভাবে উত্‍পাদন করা হবে।

Advertisements

মিশ্র অর্থনীতিতে, বিশেষ কিছু পণ্য ও পরিষেবার ক্ষেত্রে শুধুমাত্র সরকারই সিদ্ধান্ত নেন কি উত্‍পাদন করা হবে, কতটা উত্‍পাদন করা হবে, কাদের জন্য উত্‍পাদন করা হবে, এবং কিভাবে উত্‍পাদন করা হবে। তবে বেশীর ভাগ জিনিসের ক্ষেত্রে গ্রাহকই স্থির করে দেয় কি উত্‍পাদন করা হবে, কতটা উত্‍পাদন করা হবে, এবং কাদের জন্য উত্‍পাদন করা হবে। অর্থাত্‍ মিশ্র অর্থনীতিতে, ধনতান্ত্রিক ও সমাজতান্ত্রিক – এই দুই অর্থনৈতিক ব্যবস্থার সাহায্যেই মৌলিক অর্থনৈতিক সমস্যা গুলির সমাধানের পথ খোঁজা হয়।

Advertisements

   

প্রায়শই জিজ্ঞাসা করা প্রশ্নগুলি

FAQ – মৌলিক অর্থনৈতিক সমস্যা