বাড়ী বসে অনলাইন আয়ের ৫ টি সেরা পদ্ধতি
আপনি কী বাড়ীর বাইরে না গিয়ে, শুধুমাত্র বাড়ী বসেই মোটা অর্থ উপার্জন করতে চান ? তাহলে এই পোস্টটি অবশ্যই আপনার জন্য। এই পোস্টে আমরা আপনাকে জানাতে চলেছি এমন ৫ টি সেরা পদ্ধতি, যেখানে বাড়ীর বাইরে না গিয়েও আপনি মোটা অঙ্কের অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। এই পদ্ধতি গুলির সবকয়টিতেই আপনাকে অনলাইনে কাজ করতে হবে এবং তার জন্য আপনার কাছে স্মার্টফোন বা ডেক্সটপ কম্পিউটার থাক বাধ্যতামূলক। চলুন এবারে দেখে নেওয়া যাক বাড়ী বসে অর্থ উপার্জনের সেই পাঁচটি উপায়।
Affiliate Marketing
বন্ধুরা, Affiliate Marketing বর্তমান সময়ে অর্থ উপার্জনের একটি বড় মাধ্যম। অনলাইনে জিনিসপত্র কেনাকাটার প্রবণতা ক্রমে বেড়েই চলেছে। এর ফলে Affiliate Marketing -এর পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। Affiliate Marketing বলতে সাধারণত বোঝায়, অন্য কারো পণ্য আপনর মাধ্যমে কেউ কিনলেন এবং এর ফলে আপনি সেই বিক্রয়মূল্যের একটি অংশ কমিশন হিসেবে পেলেন। উদাহরণ স্বরূপ মনে করা যাক কেউ আপনার মারফত Amazon কোম্পানীর কোনও পণ্য ১০০ টাকা দিয়ে কিনলেন, এবং এর ফলে Amazon আপনাকে ১০ টাকা দিলো। বর্তমানে অনেক Affiliate Programme চালু থাকলেও, সবচেয়ে জনপ্রিয় হলো Amazon -এর Amazon Associates Affiliate Programme।
Affiliate Marketing কিভাবে শুরু করবেন ?
Affiliate Marketing শুরু করতে হলে প্রথমে Affiliate Marketing ওয়েবসাইটে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। তার আগে অবশ্য আপনার কাছে কোনও একটি মাধ্যম থাকতে হবে যেখানে আপনি affiliate পণ্য বিক্রি করবেন। সেই মাধ্যম সামাজিক মাধ্যম যেমন ফেসবুক, ইনষ্টগ্রাম বা ইউটিউব হতে পারে আবার এর জন্য আপনি আলাদা করে ওয়েব সাইট ও তৈরী করতে পারেন। এছাড়া আপনার প্রয়োজন হবে একটি স্মার্টফোন বা কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট সংযোগ। Amazon Associates -এর Affiliate Programme – এ কাজ শুরু করতে এখানে ক্লিক করুন। এরপর ওই সব মাধ্যমে affilate লিঙ্ক গুলি শেয়ার করুন। কেউ ওই লিঙ্ক থেকে পণ্য কিনলে আপনি তার ওপর কমিশন পাবেন।
শেয়ার বাজারে ট্রেডিং
শেয়ার বাজারে ট্রেডিং করে টাকা কমানো বাড়ী বসে অর্থ উপার্জনের সেরা উপায় গুলির মধ্যে একটি। আজকাল Zerodha, Upstox -এর মতো নিত্যনতুন android application গুলি আসার ফলে এই কাজ অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে। শেয়ার বাজারে ট্রেডিং করা ঝুঁকিপূর্ণ হলেও প্রয়োজনীয় জ্ঞান আহরণ করার পর সাবধানতা অবলম্বন করে এই কাজে নামলে সাফল্য আসার সম্ভাবনা বেশ ভালো। কেউ ৫০,০০০ টাকা মূলধন নিয়ে শেয়ার বাজারে ট্রেডিং করতে এলে দৈনিক নূন্যতম ১,০০০ টাকা সহজেই আয় করা সম্ভব।
শেয়ার বাজারে ট্রেডিং কিভাবে শুরু করবেন ?
শেয়ার বাজারে ট্রেডিং করতে হলে প্রথমেই আপনাকে একটি ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য নীচের যে কোনো লিঙ্কে ক্লিক করুন।
Zerodha -তে আপনার ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট খুলতে এখানে ক্লিক করুন।
Upstox -এ আপনার ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট খুলতে এখানে ক্লিক করুন।
এরপর আপনি যে পরিমাণ মূলধন নিয়ে শেয়ার বাজারে নামতে চান সেই পরিমাণ টাকা লাগবে। শুরুতে কম মূলধন নিয়ে নামাই বুদ্ধিমানের কাজ। তারপর সময়ের সাথে সাথে অভিজ্ঞতা বাড়লে মূলধনের পরিমাণ বাড়ানো যেতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনি নূন্যতম ১,০০০ টাকা নিয়েও শেয়ার বাজারে ট্রেডিং করতে নামতে পারেন। তবে শেয়ার বাজারে ট্রেডিং শুরু করার আগে অবশ্যই প্রয়োজনীয় বিষয়গুলি যেমন ফান্ডামেন্টাল অন্যালিসিস, টেকনিক্যাল অ্যানালিসিস সম্বন্ধে পড়াশোনা করে নেবেন।
ব্লগিং
আজকাল ব্লগ লিখেও অনেক মানুষ প্রচুর অর্থ উপার্জন করছেন। আমাদের প্রত্যেকের মধ্যেই কিছু না কিছু বিশেষত্ব থাকে। অর্থাত্ আমরা প্রত্যেকেই কোনও না কোনও একটি কাজ অন্যদের চেয়ে ভালো পারি। নিজেদের এই ভালো করতে পারা বিষয়টির ওপর ও ব্লগ লেখা যেতে পারে। যেমন যিনি ভালো রান্না বোঝেন তিনি রান্না সম্বন্ধে ব্লগ লিখতে পারেন আবার যিনি সিনেমা দেখতে ভালবাসেন তিনি সিনেমার ওপর ব্লগ লিখতে পারেন।
ব্লগিং কিভাবে শুরু করবেন ?
ব্লগিং শুরু করতে হলে আপনাকে একটি ওয়েবসাইট বানাতে হবে এবং তার জন্য হোস্টিং ও ডোমেন কিনতে হবে। হোস্টিং -এর খরচ মাসিক ৮০ টাকার আশেপাশে। ডোমেন -এর খরচ বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে – নূন্যতম মূল্য ৭৫ টাকা। যদিও, বিনামূল্যেও ব্লগিং শুরু করা যায় তবে সেই ক্ষেত্রে সাফল্যের সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে। এরপর আপনার ব্লগে আপনার পছন্দের বিষয় নিয়ে লিখতে শুরু করুন। বেশ কয়েকটি পোস্ট লেখার পর আপনার ব্লগের মানেটাইজেসন হয়ে গেলে সেখান থেকে আপনি টাকা পাবেন।
ব্লগ বানানোর জন্য হোস্টিং ও ডোমেন কিনতে এখানে ক্লিক করুন
ইউটিউবে ভিডিও বানানো
ব্লগিং এর মতোই Youtube -এ ভিডিও বানিয়েও আপনি প্রচুর অর্থ উপার্জন করতে পারেন। আপনার পছন্দের যে কোনো একটি ক্ষেত্র বেছে নিন ও সেই বিষয়ের ওপর নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর ভিডিও আপলোড করতে থাকুন। আপনার ইউটিউব চ্যানেল মানেটাইজ হয়ে গেলেই আপনার ভিডিও -এর ওপর বিজ্ঞাপন দেখানো হবে ও সেই থেকে আপনি অর্থ পাবেন।
ইউটিউব -এ ভিডিও করা কিভাবে শুরু করবেন ?
ইউটিউব -এ ভিডিও আপলোড করতে হলে আপনার প্রয়োজন শুধুমাত্র একটি স্মার্টফোন বা কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট সংযোগ। এছাড়াও আপনার প্রয়োজন হবে একটি অডিও মাইক, স্ট্যান্ড। আপনি চাইলে ইউটিউব ভিডিও করার জন্য দামী ক্যামেরাও ব্য়বহার করতে পারেন।
ইউটিউব ভিডিও করার জন্য মাইক কিনতে এখানে ক্লিক করুন।
ইউটিউব ভিডিও করার জন্য ক্যামেরা কিনতে এখানে ক্লিক করুন।
ইউটিউব ভিডিও করার জন্য ক্যামেরা স্ট্যান্ড কিনতে এখানে ক্লিক করুন।
ফ্রীল্যান্সিং
ফ্রীল্যান্সিং -এর মধ্যমেও বর্তমানে অনেকে মোট অর্থ উপার্জন করছেন। এক্ষেত্রে কোনো একটি বিশেষ কাজে আপনার দক্ষতা থাকতে হবে। আপনার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার সম্বন্ধে লিখে ফ্রীল্যান্সিং ওয়েবসাইটে অ্যাকাউন্ট খুলবেন। এরপর ওই ওয়েবসাইটে বিভিন্ন কাজের বিজ্ঞাপন দেওয়া থাকতে দেখবেন। আপনি পারদর্শী এমন কাজের জন্য বিড করুন। আপনাকে বিজ্ঞাপন দাতার আপনাকে পছন্দ হলে তিনি আপনার সাথে যোগাযোগ করবেন ও কাজটি আপনাকে করতে দেবেন। কাজ হয়ে গেলে আপনার অ্যাকাউন্টে টাকা চলে আসবে।
ফ্রীল্যান্সিং ওয়েবসাইট গুলি যদিও VIP সদস্যতার জন্য টাকা নিয়ে থাকে তবে শুরুতে আপনি কোনো রকম অর্থ প্রদান না করেই এই কাজ করতে পারেন।
বিভিন্ন ফ্রীল্যান্সিং ওয়েব সাইট গুলি হলো: – Guru, Fiver, Indeed, Freelancer
আশা করি এই পোস্টটি আপনাদের ভাল লাগবে ও এর থেকে আপনার নতুন কিছু জানতে পারবেন। পোস্টটি অন্যদের সাথে শেয়ার করে অন্যদেরও জানার সুযোগ করে দিন এবং আপনার কোনও প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট বক্সে জানান। এছাড়াও আপনার ইমেইল আইডি দিয়ে আমাদের সাব্সক্রাইব করুন যাতে আমাদের সকল পোস্টগুলি সবার আগে পড়তে পারেন।
আরও পড়ুন: –
অনলাইনে ইনকাম করার উপায় ২০২২ | গ্রোমো অ্যাপ্লিকেশন | GroMo থেকে আয়