Advertisements

পিপিএফ সম্বন্ধে বিস্তারিত – সুদের হার, অ্যাকাউন্ট খোলার নিয়ম | পাবলিক প্রভিডেণ্ট ফান্ড

Advertisements

To Read this Article in English Click here

 

প্রতি মাসে মাত্র ₹ ৯,০০০ করে জমা করলেই এই প্রকল্পের মাধ্যমে আপনি হয়ে যেতে পারেন কোটিপতি – পিপিএফ (PPF) যোজনা

 

বন্ধুরা আমরা সকলেই খুব তাড়াতাড়ি ধনী হতে চাই এবং খুব স্পষ্ট ভাবে বলতে গেলে সৎ পথে তাড়াতাড়ি ধনী হওয়ার একমাত্র রাস্তা হলো বিনিয়োগ বা ইনভেস্টমেন্ট । একজন সাধারণ বিনিয়োগকারী বিভিন্ন ক্ষেত্রে  বিনিয়োগ করতে পারেন। যেমন – শেয়ার বাজারে, সোনা , বিভিন্ন বন্ড, ইত্যাদিতে। তবে এই ক্ষেত্র গুলিতে বিনিয়োগ করা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। এছাড়াও এইসব ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করার আগে যেমন প্রয়োজন যথেষ্ঠ অনুসন্ধানের তেমনি এইসব বিনিয়োগের তারল্য বা লিকুইডিটি ও খুব কম – অর্থাত্‍ আপনি চাইলেই আপনার সময় মতো যখন তখন আপনার বিনিয়োগকৃত অর্থ ফেরত্‍ নিতে পারবেন না। তাই আজ আমরা আপনাদের বলতে চলেছি এমন একটি পদ্ধতি যেখানে বিনিয়োগের জন্য কোনরকম অনুসন্ধানের প্রয়োজন হবে না এবং এই প্রকল্পে বিনিয়োগ করলে আপনার কষ্টার্জিত অর্থ ও থাকবে একদম সুরক্ষিত এবং এর পাশাপাশি এর থেকে আপনি হয়ে যেতে পারেন কোটিপতি। তবে কি সেই প্রকল্পের নাম? হ্যাঁ, আপনি ঠিকই ধরেছেন। আজকে আমরা আপনাকে জানাতে চলেছি পি.পি.এফ. বা পাবলিক প্রভিডেণ্ট ফান্ড এর সম্বন্ধে সবকিছু বিস্তারিত ভাবে। 

Advertisements

 

 

পিপিএফ (PPF) বা পাবলিক প্রভিডেণ্ট ফান্ড অ্যাকাউন্ট -এর নিয়ম

Advertisements
  • যে কোনও ব্যাংক বা পোস্ট অফিস থেকে আপনি এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে পারেন। 
  • এই প্রকল্পে এক বছরে সর্বনিম্ন ₹ ৫০০ এবং একটি আর্থিক বছরে সর্বোচ্চ ₹ ১,৫০,০০০ জমা করা যায়।
  • আপনি আপনার সুবিধা অনুযায়ী এই টাকা একবারেও জমা করতে পারেন অথবা কিস্তিতেও জমা করতে পারেন।
  • এই প্রকল্পের ম্যাচুরিটি বা পরিণতি সময় ১৫ বছর। যদিও বিশেষ পরিস্থিতিতে ৫ বছর পরই আপনি আপনার পি.পি.এফ. অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিতে পারেন এবং আপনার টাকা ফেরত্‍ পেতে পারেন।
  • এছাড়া ম্যাচুরিটি বা পরিণতি সময় অর্থাত্‍ ১৫ বছর সম্পূর্ণ হওয়ার পরও আপনি চাইলে এই অ্যাকাউন্ট চালু রাখতে পারেন।

 

 

পিপিএফ বা পাবলিক প্রভিডেণ্ট ফান্ড অ্যাকাউন্টে সুদের হার

  • বর্তমানে পিপিএফ আমানত প্রকল্পে সুদের হার ৭.১%। 

 

 

পিপিএফ বা পাবলিক প্রভিডেণ্ট ফান্ড থেকে হতে পারেন কোটিপতি

পিপিএফ ক্যালকুলেটর 

        একটি হিসেব অনুযায়ী আপনি যদি এই আমানত প্রকল্পে প্রতি মাসে ₹ ১২,৫০০০ অর্থাত্‍ প্রতি বছর ₹ ১,৫০,০০০ জমা করেন তাহলে ১৫ বছর পর আপনি ফেরত্‍ পাবেন ₹৩৯,৪৪,৬০০

Advertisements

পি.পি.এফ. | PPF

           আবার একটি হিসেব অনুযায়ী ৩০ বছর ধরে প্রতি মাসে মাত্র ₹ ৯,০০০ করে পি.পি.এফ. অ্যাকাউন্টে জমা করলেই আপনি হয়ে যেতে পারেন কোটিপতি। হ্যা আর এই কারণেই পি.পি.এফ. বা পাবলিক প্রভিডেণ্ট ফান্ড বিনিয়োগ প্রকল্পটি আমানতকারীদের কাছে সবচেয়ে আকর্ষনীয়।  

Advertisements

Crorepati by PPF | পি.পি.এফ. থেকে কোটিপতি

 

পিপিএফ -এর অন্যান্য বৈশিষ্ট গুলি 

  • একজন ব্যাক্তি সারা দেশে মাত্র একটি পি.পি.এফ. অ্যাকাউন্টই খুলতে পারেন। 
  • নাবালক দের জন্যও এই অ্যাকাউন্ট খোলা যেতে পারে। 
  • প্রয়োজন হলে আপনি আপনার পি.পি.এফ. অ্যাকাউন্ট থেকে লোন ও নিতে পারেন 
  • পিপিএফ অ্যাকাউন্টে জমা করা টাকার ওপর আয়কর আইনের ৮০সি ধারায় কর ছাড় পাওয়া যায়। 

 

পিপিএফ অ্যাকাউন্ট খোলার পদ্ধতি 

  • যেকোনো পোস্ট অফিসে সেভিংস অ্যাকাউন্ট থাকলেই আপনি পিপিএফ অ্যাকাউন্ট ও খুলতে পারেন।
  • এছাড়া যেকোনো ব্যাঙ্ক- এর মাধ্যমেও আপনি এই অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন।
  • পিপিএফ অ্যাকাউন্ট খুলতে যে ডকুমেন্টস প্যান কার্ড, আধার কার্ড ও একটি পাসপোর্ট সাইজ ফোটো সঙ্গে নিয়ে যাবেন। এছাড়াও যে পরিমাণ টাকা অ্যাকাউন্ট খোলার সময় জমা করতে চান তাও সঙ্গে নেবেন। এই ক্ষেত্রে নূন্যতম জমার পরিমাণ ৫০০ টাকা।
  • Advertisements
  • এরপর কাউন্টার -এ গিয়ে  পিপিএফ অ্যাকাউন্ট খুলতে চান জানালে আপনাকে একটি ফর্ম দেওয়া হবে। সেটিতে সমস্ত তথ্য ভরে জমা দিলেই আপনার পিপিএফ অ্যাকাউন্ট চালু হয়ে যাবে। 
  • এছাড়া এখন অনলাইনেও পিপিএফ অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন। 
  • যদি আপনি কোনও ব্যাংকে পিপিএফ অ্যাকাউন্ট খুলতে চান, তাহলে সেই ব্যাংকের ওয়েবসাইটে গিয়ে পিপিএফ বিভাগ দেখুন (উদাহরণস্বরূপ এসবিআই তে অনলাইনে পিপিএফ অ্যাকাউন্ট খোলার লিঙ্ক দেওয়া হল)। এছাড়াও আপনি সরাসরি সেই ব্যাংকের শাখাতেও যোগাযোগ করতে পারেন। 
  • Advertisements

 

পিপিএফ প্রত্যাহারের নিয়ম 

  • ম্যাচুরিটির আগেই পিপিএফ অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া যায়। তবে এক্ষেত্রে নিম্নলিখিত শর্ত গুলি রয়েছে – 
    1. পিপিএফ প্রত্যাহারের আবেদন করা যাবে, যে বছর পিপিএফ অ্যাকাউন্ট চালু করা হয়েছিল তার ৫ বছর পর থেকে। 
    2. এছাড়া এই আবেদন করা যাবে শুধুমাত্র নিম্নলিখিত কারণ গুলির জন্য
      • আবেদনকারী/তাঁর স্বামী বা স্ত্রী/তাঁর ওপর নির্ভরশীল সন্তানের কোনও দুরারোগ্য ব্যাধি হলে। 
      • আবেদনকারী/তাঁর ওপর নির্ভরশীল সন্তানের উচ্চশিক্ষার জন্য। 
      • যদি আবেদনকারীর বাসিন্দা মর্যাদায় কোনও পরিবর্তন হলে (যেমন সাধারণ নাগরিক থেকে এনআরআই হয়ে গেলে)।
    3. সংশ্লিষ্ট দফতর (পোস্ট অফিস/ব্যাংকে) ফর্ম জমা করে পিপিএফ অ্যাকাউন্ট ম্যাচুরিটির আগেই বন্ধ করা যাবে। 

 

প্রায়শই জিজ্ঞাসা করা প্রশ্নগুলি

FAQ – পিপিএফ